গ্রামীণ মাটির রাস্তা ও ঘাট মেরামত কর্মসূচি: কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের নতুন দিগন্ত
গ্রামীণ মাটির রাস্তা ও ঘাট মেরামত কর্মসূচি: কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের নতুন দিগন্ত
বাংলাদেশের গ্রামীণ জনপদের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার চালু করেছে গ্রামীণ মাটির রাস্তা ও ঘাট মেরামত কর্মসূচি। এই কর্মসূচি শুধুমাত্র অবকাঠামো উন্নয়ন নয়, বরং বেকার মানুষদের জন্য সাময়িক আয়ের সুযোগ এবং ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা গড়ে তোলার এক অনন্য উদ্যোগ।
কর্মসূচির সময়সূচি ও মজুরি কাঠামো
প্রথম পর্ব (অক্টোবর – ডিসেম্বর)
- দৈনিক মজুরি: ৪০০ টাকা
- কর্মদিন: ৪০ দিন
- মোট আয়: ১৬,০০০ টাকা
দ্বিতীয় পর্ব (মার্চ – এপ্রিল)
- দৈনিক মজুরি: ৪০০ টাকা
- কর্মদিন: ৪০ দিন
- মোট আয়: ১৬,০০০ টাকা
দুই পর্বে একজন শ্রমিকের মোট বার্ষিক আয় দাঁড়ায় ৩২,০০০ টাকা।
যদি ৪ লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পে অংশ নেয়, সরকারের মোট ব্যয় হবে প্রায় ১২,৮০০ কোটি টাকা।
বোনাস সঞ্চয়: দরিদ্র মানুষের জন্য আর্থিক সুরক্ষা
প্রতিদিন ২৫ টাকা করে ব্যাংকে সঞ্চয় হবে, যা ৪০ দিনে দাঁড়াবে ১,০০০ টাকা।
দুই পর্ব শেষে মোট সঞ্চয় হবে ২,০০০ টাকা।
এই অর্থ প্রতিবছর জুলাই মাসে ফেরত দেওয়া হবে, যা বাড়তি আর্থিক সুরক্ষা হিসেবে কাজ করবে।
কাজের ধরন ও বাস্তবায়ন কাঠামো
- কাজের ধরন: গ্রামীণ মাটির রাস্তা ও ঘাট মেরামত
- কাজের সময়: দৈনিক ৭ ঘণ্টা
- অংশগ্রহণ: নারী ও পুরুষ উভয়েই
- বাস্তবায়ন: উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় তত্ত্বাবধান করবে, ইউনিয়ন পরিষদ তালিকা তৈরি করবে
- পেমেন্ট: প্রতি সপ্তাহে দেওয়া হবে
- সময়সূচি পরিবর্তন: যৌক্তিক কারণে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে
সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব
এই প্রকল্প শুধু কর্মসংস্থানই সৃষ্টি করছে না, বরং গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ এবং ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে গ্রামীণ দারিদ্র্য হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
গ্রামীণ মাটির রাস্তা ও ঘাট মেরামতের মাধ্যমে কৃষিপণ্য পরিবহন, বাজারে যাতায়াত, শিক্ষার্থী ও রোগী পরিবহনসহ জনসেবায়ও নতুন গতি আসছে, যা সরাসরি গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে।
আপনার এলাকায় এই কর্মসূচির সুবিধা পেতে নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদ বা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং উন্নয়নমূলক কাজে যুক্ত হয়ে উপার্জনের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে অবদান রাখুন।